December 23, 2024, 2:57 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
বাংলা সাহিত্যের আরেক অমর স্রষ্ঠা হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন আজ (১৩ নভেম্বর)। বাংলা সাহিত্যকে নানা ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক। সব হিসেবেই প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সৃষ্টিশীলতায় অনন্য। তিনি যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই সৃষ্টি করেছেন। এক করেছেন পাঠক ও শ্রোতা-দর্শকদের। বাংলাদেশের পাঠকদের বইমুখী করতে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। মৃত্যুবরণ করেন ২০১২ সালের ১৯ জুলাই।
জীবদ্দশায় তিনি লিখেছেন দুই শতাধিক উপন্যাস। ‘নন্দিত নরকে’ এবং ‘শঙ্খনীল কারাগার’ উপন্যাস দু’টি দিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কবি’, ‘বাদশা নামদার’সহ অসংখ্য উপন্যাসে। তার সর্বশেষ ‘দেয়াল’ উপন্যাসটিও পেয়েছে আকাশচুম্বী পাঠকপ্রিয়তা। আর তার সৃষ্টি ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ চরিত্রগুলো তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সববয়সী পাঠকের কাছে হয়েছে অনুকরণীয়।
লেখালেখির সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোও সবার কাছে বিশেষ সমাদৃত হয়। ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্যামল ছায়া’, ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রগুলোর জন্য তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া তার নির্মিত ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’ ও ‘বহুব্রীহি’ বাংলা নাটকের অমর সৃষ্টি।
হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্যজীবনে পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার। এরমধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখকশিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন সময় দেশের বাইরেও সম্মানিত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।
Leave a Reply